এখন গ্রাহক একটি সংযোগের মাধ্যমে ল্যান্ডফোন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও কেবল অপারেটরের সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সব পর্যায়ের গ্রাহক সেবার মান আগের চেয়ে ভালো হবে। একই সঙ্গে বহুদিন থেকে আলোচিত ‘ট্রিপল প্লে’ সেবার বিষয়টিও পূর্ণতা পাবে। একই সংযোগে ল্যান্ডফোন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও কেবল অপারেটরের সেবা ট্রিপল প্লে হিসেবে পরিচিত।
এ জন্য আগামী বছরের মধ্যে সব নেটওয়ার্ক আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল প্রযুক্তিতে স্থানান্তরের কাজ শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি।টেলিযোগাযোগ খাতের এক সময়ের দাপুটে সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলের এমন উদ্যোগের অনেক আগেই দেশে কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানি ফাইবারভিত্তিক ট্রিপল প্লে সেবা দেওয়া শুরু করেছে।
এ ক্ষেত্রে তারা ব্যবসায়িক সাফল্যও পেতে শুরু করেছে। বর্তমানে বিটিসিএল ডিজিটাল নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে তাদের সেবা দিচ্ছে। দু’দশক আগে তখনকার বাংলাদেশ টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ বোর্ড বা বিটিটিবি সব অ্যানালগ নেটওয়ার্ককে ডিজিটালে রূপান্তরের কাজ শুরু করে।
‘ডিজিটাল সংযোগ বাড়াতে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ (এমওটিএন)’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিটিসিএল। প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় আইপিতে রূপান্তরের কাজ চলবে। চীনা সরকারের ঋণ সহায়তায় দেশটির কোম্পানি জেডটিই ঠিকাদার হিসেবে প্রকল্পের মূল কাজ করছে। শুরু থেকে এ প্রকল্পে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনষপত্র কেনা এবং অধিমূল্য পরিশোধ নিয়ে নানা বিতর্ক ছিল।
কিন্তু সব বিতর্ক পেরিয়ে অবশেষে খানিকটা বিলম্বে হলেও কাজ শুরু হয়েছে এবং আগামী বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিটিসিএলের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন।রফিকুল মতিন জানান, এ প্রকল্পের আওতায় তারা আরও কয়েক হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক কেবলের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
বর্তমানে তাদের হাতে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক আছে।ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সামনের দিনে ফাইবারভিত্তিক যোগাযোগ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। তাই বিটিসিএলকেও সেদিকে যেতেই হবে।বর্তমানে বিটিসিএলের প্রায় ছয় লাখ সংযোগ আছে। যদিও তাদের সংযোগ দেওয়ার ক্ষমতা সাড়ে ১৩ লাখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।